
প্রকাশিত: ২০২০-০৯-১৯ ১৫:১০:২৫
শনিবার সকাল ৯টার দিকে সড়কপথে লাশ চট্টগ্রামে আনার পর হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মারাসায় রাখা হয়েছে। বাদ জোহর তার জানাজা হবে।
চট্টগ্রামে ‘বড় হুজুর’ নামে পরিচিত আহমদ শফীকে শেষবারের মতো দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চট্টগ্রামে আসছেন তার অনুসারীরা।
যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক রাখা হয়েছে। পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যদের।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া ও পটিয়া উপজেলায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
হাটহাজারীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সার্বিকভাবে ভালো আছে। বিভিন্ন স্থান থেকে তার অনুসারীরা হাটহাজারীতে সমাগম হচ্ছে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাটহাজারীতে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আছে।
অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মধ্যে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে শতবর্ষী শফী হাটহাজারীর বড় এই মাদরাসার মহাপরিচালকের দায়িত্ব ছাড়ার একদিন পর শুক্রবার মারা যান।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্টে ভোগার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত কারণে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল।
আহমদ শফী হাটহাজারীর ‘বড় মাদরাসা’ হিসেবে পরিচিত আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালকের (মুহতামিম) দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সেই ১৯৮৬ সাল থেকে।
দেওবন্দের পাঠ্যসূচিতে পরিচালিত দেশের অন্যতম পুরনো এ কওমি মাদরাসার শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে তিনি বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।
কওমি মাদরাসার নেতৃত্বের উপর ভর করেই তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে আসা হেফাজতে ইসলামের আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আপনার মন্তব্য